হোস্টিং হল একটি স্পেস যেখানে কোন ফাইল রাখলে তা পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকে অ্যাক্সেস করা যায়। আমরা ইন্টারনেট এ যত ফাইল, তথ্য, উপাত্ত বা ওয়েবসাইট দেখতে পাই সব কিছুই একটা হোস্টিং সার্ভার এ রাখা থাকে যেখানে ২৪ ঘণ্টা দ্রুত গতি সম্পূর্ণ ইন্টারনেট সংযোগ এবং সার্ভার সবসময় সচল রাখার জন্য অনেক লোক কাজ করে। হোস্টিং এ ফাইল বা ওয়েবসাইট রাখলে ২৪ ঘণ্টা এগুলো লাইভ থাকে এবং World wide যে কেউ এগুলো অ্যাক্সেস করতে পারবে ।
Table of Contents
হোস্টিং এর প্রকারভেদ
হোস্টিং সাধারনত ৪ প্রকার হয়, যেগুলোর প্রত্যেকটির আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট রয়েছে ।
- শেয়ারর্ড হোস্টিং (Shared Hosting)
- ভিপিএস সার্ভার / হোস্টিং (VPS = Virtual Private Server)
- ডেডিকেটেড সার্ভার (Dedicated Server)
- রিসেলার হোস্টিং (Reseller Hosting)
শেয়ারর্ড হোস্টিং
একটি সার্ভারের রিসোর্স যখন একাধিক ইউজার এক সাথে ব্যবহার করে অর্থাৎ রিসোর্স শেয়ার করে তখন তাকে শেয়ারর্ড হোস্টিং বলে।একাধিক ইউজার একসাথে ব্যবহার করায় শেয়ারর্ড হোস্টিং এর দাম অনেক কম হয় । শেয়ারর্ড হোস্টিং সাধারণত যারা নতুন ব্লগিং বা ওয়েবসাইট তৈরি করে তাদের জন্য বেস্ট । অনেক সময় বড় বড় কোম্পানী গুলো ফ্রী তে তাদের শেয়ার হোস্টিং সার্ভিস দিয়ে থাকে।
ভিপিএস হোস্টিং
VPS (Virtual Private Server) এর স্পীড শেয়ারর্ড হোস্টিং এর থেকে বেশি হয় । ভিপিএস হোস্টিং এর জন্য আলাদা ভাবে সার্ভারে Ram,Cpu,Storage ভাগ করা থাকে যার জন্য এটি অনেক ফাস্ট এবং সিকিউর হয়। ওয়েবসাইট এর ভিজিটর যদি মোটামুটি বেশি হয় সেক্ষেত্রে VPS হোস্টিং ব্যবহার করাই ভালো।
ডেডিকেটেড সার্ভার
একটা পুরো সার্ভার যখন কারো সাথে শেয়ার না করে একাই ব্যবহার করা হয় তখন তাকে ডেডিকেটেড হোস্টিং বলা হয়। সহজ ভাষায় বললে একটি পুর পিসি কে server হিসাবে যখন শুধু মাত্র একজন ইউজার ব্যবহার করে তখন তাকে ডেডিকেটেড হোস্টিং বলে।
রিসেলার হোস্টিং
কোন কম্পানি থেকে যখন অন্য কোন কম্পানি বা ব্যক্তি একটি হোস্টিং সার্ভিস নিয়ে নিজেই প্যাকেজ কাস্টমাইজ করে অন্য দের কাছে ReSell করে তখন সেটাকে রিসেলার হোস্টিং বলে ।