ই-কমার্স ওয়েবসাইটে স্বল্প সময়ে পেজ লোড হওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এতে কাস্টমার এঙ্গেজমেন্ট বৃদ্ধি পায় এবং সেল বেড়ে যায়। পাশাপাশি সার্চ ইঞ্জিনে দ্রুত লোড হওয়া ওয়েবসাইট দ্রুত র‍্যাঙ্ক পায়। ই-কমার্স ওয়েবসাইট স্পিড অপ্টিমাইজেশন করার জন্য অনেক গুলো পদ্ধতি রয়েছে। নিচে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট কীভাবে ফাস্ট করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। 


Table of Contents


o ই-কমার্স ওয়েবসাইট স্পিড অপটিমাইজেশন

o ভালো মানের ওয়েব হোস্টিং

o সিডিএন ব্যবহার

o ইমেজ অপ্টিমাইজেশন

o ডাটাবেজ অপ্টিমাইজ

o HTTP রিকোয়েস্ট কমিয়ে আনা

o ক্যাশিং চালু রাখা

o ফাইল মিনিফিকেশন

o আলাদা ই-মেইল সার্ভার

o অপ্টিমাইজড থিম প্লাগিন ব্যবহার

o লেটেস্ট পিএইচপি ভার্সন ইউজ করা

o শেষ কথা

ই-কমার্স ওয়েবসাইট স্পিড অপটিমাইজেশন

নিচে ই-কমার্স ওয়েবসাইট স্পিড অপ্টিমাইজেশন করার উপায় বর্ণনা করা হলো। 


ভালো মানের ওয়েব হোস্টিং

ওয়েবসাইট স্পিডের ক্ষেত্রে ওয়েব হোস্টিং অনেক বড় একটি ফ্যাক্টর। কারণ ওয়েবসাইটের সকল ফাইল এখানেই থাকে। ভিজিটর যখন তার ওয়েব ব্রাউজারে কোন ওয়েবসাইটের অ্যাড্রেস এন্ট্রি করে তখন উক্ত ব্রাউজার সার্ভার থেকে ওয়েবসাইটের ফাইল ডাউনলোড করে ভিজিটরের সামনে ডিসপ্লে করে। এখন হোস্টিং যদি ভালো না হয় তাহলে এই ফাইল ডাউনলোড করতে সময় বেশি লাগবে। যা ওয়েবসাইট স্পিড কমিয়ে দিবে। 


অন্যদিকে হোস্টিং যদি ভালো হয় তাহলে এই ফাইল ডাউনলোড ও ব্রাউজার শো করাতে ল্যাটেন্সি কমে যাবে। এতে সাইটের সকল ফাইল অনেক দ্রুত লোড হবে। যে কারণে ওয়েবসাইট অন্য কোন সমস্যা না থাকলে অনেক দ্রুত লোড হবে। ই-কমার্সের মতো অনেক ফাইল ও ইমেজ বিশিষ্ট সাইট লোড হতে এমনিতেই বেশি সময় লাগে। তার উপরে যদি সার্ভার স্লো হয় তাহলে পারফর্মেন্স একদম কমে যাবে। 


এই কারণে ই-কমার্স ওয়েবসাইট পরিচালনা করার জন্য হয় ডেডিকেটেড অথবা ই-কমার্সের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ই-কমার্স হোস্টিং ইউজ করা উচিত। কারণ এই ধরনের হোস্টিং সার্ভিসে যে কোন অনলাইন স্টোর যেন ভালোভাবে চলতে পারে তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা করা থাকে। 


সিডিএন ব্যবহার

সিডিএন ব্যবহার

সিডিএন হচ্ছে কন্টেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক। এর কাজ হচ্ছে কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়া ওয়েবসাইট কন্টেন্ট সার্ভার থেকে ব্রাউজারে ডেলিভারি করা। CDN এর সব থেকে বড় সুবিধা হচ্ছে এটি DNS পর্যায় থেকে ফায়ারওয়ালের মাধ্যমে সার্ভারে কোন আনইউজুয়াল রিকোয়েস্ট যেতে দেয় না। অন্যদিকে ওয়েবসাইটের ফুল কপি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ক্যাশ সার্ভারে রেখে দেয়। যা ওয়েবসাইট ভিজিটরদের কাছে তাদের কাছের সার্ভার লোকেশন থেকে লোড হয়।


এতে ওয়েবসাইটের স্পিড অনেক বেড়ে যায়। যে সকল সাইট ইন্টারন্যাশনাল ভিজিটরদের জন্য তৈরি করা হয় সে সকল ওয়েবসাইটে সিডিএন ইউজ করা অনেকটা বাধ্যতামূলক। যাইহোক, ওয়েবসাইটের স্পিড বৃদ্ধি করতে সিডিএন বেশ কিছু কাজ করে থাকে। বিশেষত CDN ভিজিটরকে তার কাছের সার্ভার থেকে সাইট দেখায় জন্য মেইন সার্ভারে চাপ অনেক কম পরে। অন্যদিকে ওয়েবসাইট যখন সিডিএন থেকে শো হয় তখন তা সার্ভার থেকে কাছে থাকায় সার্ভার রিকোয়েস্ট খুব দ্রুত সার্ভারে পৌঁছায় এবং ল্যাটেন্সি কমে আসে। 


ইমেজ অপ্টিমাইজেশন

ই-কমার্স ওয়েবসাইটে ইমেজের ভাণ্ডার থাকে। অনলাইন শপে প্রোডাক্টের ইমেজ যত হাই কোয়ালিটি থাকবে তত বেশি কনভার্সন হবে। তবে ইমেজ বেশি ভালো কোয়ালিটি করতে গিয়ে আমরা রেজুলেশন বাড়ায় যা ইমেজ সাইজ বাড়িয়ে দেয়। ইমেজ সাইজ যত বড় হবে ব্রাউজার উক্ত ইমেজ ডাউনলোড করতে তত সময়ে নিবে যা ওয়েবসাইট লোড বৃদ্ধি করবে। অন্যদিকে ইমেজ বেশি হলেও সার্ভার এবং ডাটাবেজে স্পেস বেশি খরচ হবে। স্পেস কমে গেলে ওয়েবসাইট স্বাভাবিকভাবে চলতে গেলে জে পরিমাণ রিসোর্স প্রয়োজন তা পাবে না। যা ওয়েবসাইট স্পিড কমিয়ে দেবে। 


যাইহোক, ই-কমার্স ওয়েবসাইটে আপনি সহজেই এই ইমেজ সাইজ কোয়ালিটি ঠিক রেখে কমিয়ে আনতে পারবেন। বর্তমানে অনেক এসইও এক্সপার্ট এবং গুগল নিজেও অপ্টিমাইজ ইমেজ ইউজ করতে বলে। আপনি নিজেই আপনার ওয়েবসাইটে এই এক্সপেরিমেন্ট করে দেখতে পারবেন। গবেষণায় দেখা যায় জে একটি WEBP এক্সটেনশনের ইমেজ PNG ও JEPG ইমেজ থেকে দ্রুত লোড হয়। 


আপনার অনলাইন বিজনেসের ইমেজ অপ্টিমাইজ করার জন্য দুই ধরনের পদ্ধতি ইউজ করতে পারবেন। যেমন আপনি ম্যানুয়ালি ইমেজ অপ্টিমাইজ করে আপলোড দিতে পারবেন। আবার প্লাগিন ইউজ করেও ইমেজ অপ্টিমাইজ করতে পারবেন। 


ডাটাবেজ অপ্টিমাইজ

ই-কমার্স মানেই হচ্ছে ডাটাবেজের খেলা। কাস্টমার অর্ডার থেকে শুরু করে, ট্রানজেকশন ও প্রোডাক্টের সকল ডিটেইলস এই ডাটাবেজ থেকেই পরিচালিত হয়। ওয়েবসাইট স্পিড অপ্টিমাইজ করার জন্য ডাটাবেজ অপ্টিমাইজ করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু ওয়েবসাইটের ফ্রন্টে জে ডাটা শো হয় তা ডাটাবেজ থেকে আসে সেহেতু এটি অপ্টিমাইজড না থাকলে পারফর্মেন্স খারাপ হয়ে যাবে। 


ভালো ওয়েবসাইট স্পিড পেতে ডাটাবেজ অপটিমাইজেশনের কোন বিকল্প নেই। ডাটাবেজ ম্যানুয়ালি অপ্টিমাইজ করা অনেক ঝামেলার হতে পারে। তবে প্লাগিন ইউজ করে সহজেই এই কাজ করা যায়। তবে ডাটাবেজে জে কোন ধরনের কাজ করার জন্য অবশ্যই ব্যাকআপ নিয়ে নিতে হবে। কারন এখানে কোন ঝামেলা করলে ওয়েবসাইট আর লোড হবে না। 


HTTP রিকোয়েস্ট কমিয়ে আনা

অপ্রয়োজনীয় প্লাগিন ও উইজেড রিমুভ করে দেওয়া

এইচটিটিপি রিকোয়েস্ট হচ্ছে ব্রাউজার বা ক্লাইন্ট সাইড থেকে সার্ভার সাইডে রিকোয়েস্ট সেন্ড করে ওয়েবসাইট কন্টেন্ট নিয়ে আসা। এই কাজ সাধারণত ক্লাইন্ট সাইড করে থাকে। আপনি এখন আইটি নাট ব্লগে ই-কমার্স ওয়েবসাইট স্পিড অপ্টিমাইজেশন সম্পর্কে জে ব্লগ পরছেন এটি সাধারণত HTTP রিকোয়েস্টের মাধ্যমে আপনার ব্রাউজার আপনাকে দেখাচ্ছে। যাইহোক, সার্ভারে যত বেশি HTTP রিকোয়েস্ট হবে তত বেশি সার্ভার লোড বৃদ্ধি পাবে। সার্ভার লোড বৃদ্ধি পেলে তা প্রসেস করতে বেশি সময় প্রয়োজন পড়বে।


এতে উক্ত ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট ব্রাউজারে শো করাতে বেশি সময়ের প্রয়োজন হবে। এতে ওয়েবসাইট লোড টাইম অনেক বেড়ে যাবে। একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইটের জন্য স্লো লোড স্পিড বিষফোঁড়ার মতো কাজ করে। যাইহোক, HTTP রিকোয়েস্ট কমানোর অনেক কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে যেমন- 


HTML, CSS ও JS ফাইল মিনিফাই করতে হবে

CSS ও JS ফাইল কম্বাইন করে নিতে হবে

সাইটে কোন ভিডিও বা অডিও এম্বেড করা থাকলে তা রিমুভ করে দিতে হবে বা লেজি লোড করে দিতে হবে

চেষ্টা করতে হবে থার্ড পার্টি HTTP রিকোয়েস্ট যেমন অ্যানালিটিক্স, ফেসবুক ট্র্যাকিং, গুগল ফন্ট ও এক্সটারনাল ফন্ট ইত্যাদি যেন খুব কম পরিমাণে সাইটে ইউজ হয়


উপরিউক্ত বিষয় গুলো সঠিক ভাবে করতে পারলে সাইটে HTTP রিকোয়েস্ট অনেক কমে যাবে।


ক্যাশিং চালু রাখা

ক্যাশিং এর প্রধান কাজ হচ্ছে কোন প্রচেস যদি বারবার চালু হয় তাহলে তার একটি ক্যাশ ভার্সন তৈরি করা। এবং সময় মতো সেই ক্যাশ ভার্সন প্রদর্শন করা। আরও সহজে বলতে গেলে ধরুন কোন ভিজিটর আপনার অনলাইন স্টোর থেকে একটি প্রোডাক্ট বারবার ভিজিট করছে। এখন ব্যাকএন্ডে থাকা উকমার্স আপনাকে উক্ত প্রোডাক্ট দেখানোর জন্য বারবার ডাটাবেজ থেকে ডাটা নিয়ে আসছে। এখন এই কাজ বারবার করাতে সাইটের উপরে লোড অনেক বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। 


যে কারণে সাইটের লোড স্পিড বেড়ে যাচ্ছে। এই ক্ষেত্রে ক্যাশিং টেকনোলজি উক্ত পেজের একটি ক্যাশ ভার্সন তৈরি করে। এর পর যখন কোন ভিজিটর উক্ত পেজ ভিজিট করে তখন আর নতুন করে সার্ভার থেকে বা ডাটাবেজ থেকে ফাইলগুলো নিতে হয় না। যে কারণে সাইট অনেক দ্রুত লোড হয়। অবজেক্ট ক্যাশিং ও ব্রাউজার ক্যাশিং চালু করার জন্য ওয়ার্ডপ্রেসে অনেক ধরনের প্লাগিন পাওয়া যায়। এগুলো ওয়েবসাইট স্পিড বৃদ্ধি করার পাশাপাশি ক্যাশিং নিশ্চিত করে। 


ফাইল মিনিফিকেশন

ফাইল মিনিফিকেশন বলতে বোঝায় কোডের মধ্যে যে স্পেস, কমেন্ট ও লাইন ব্রেক গুলো থাকে তা রিমুভ করা। এতে লেআউট শিফট অনেক কমে যায় এবং ফাইল রেন্ডারিং কমে যায়। যা উক্ত ফাইল গুলোর সাইজ যেমন কমায় তেমনি লোড হতে অনেক কম সময় নেয়। 


রিসোর্স মিনিফাই করার জন্য ওয়ার্ডপ্রেসে অনেক প্লাগিন পাওয়া যায়। বর্তমানে পপুলার ক্যাশিং প্লাগিন গুলো HTML, CSS ও JS ফাইল মিনিফিকেসন সার্ভিস দিয়ে থাকে। 


আলাদা ই-মেইল সার্ভার

অনলাইন স্টোরে ট্রাঞ্জেকশনাল ই-মেইল ইউজ করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমরা বেশিরভাগ সময় সার্ভার থেকে দেওয়া লিমিটেড ফিচার এবং স্পেসের মেইল সার্ভিসের উপরে ভরসা করে থাকি। কিন্তু যখন সাইটে অনেক বেশি পরিমাণে ভিজিটর আসে এবং কাস্টমার বেড়ে যায় তখন মেইল সার্ভারে অনেক বেশি পরিমাণে মেইল জমা হতে পারে। যা সরাসরি হোস্টিং থেকে স্পেস এবং অন্যান্য রিসোর্স ইউজ করে। 


অনেক হোস্টিং কোম্পানি এই সার্ভিস বন্ধ করে রাখে যাতে কোন ভিজিটরের জন্য তাদের সার্ভারে অতিরিক্ত চাপ না পরে। এই ক্ষেত্রে সাইটের পারফর্মেন্স ঠিক রাখার জন্য আলাদা মেইল সার্ভার ইউজ করা উচিত। বর্তমানে অনেক ডেডিকেটেড SMTP মেইল সার্ভার রয়েছে যারা প্রফেশনালি মেইল আদান-প্রদান সার্ভিস দিয়ে থাকে। 


অপ্টিমাইজড থিম প্লাগিন ব্যবহার

অপ্টিমাইজড থিম প্লাগিন ব্যবহার

ই-কমার্স বিজনেস পরিচালনার জন্য যে থিম এবং প্লাগিন ইউজ করা হবে তা অবশ্যই স্পিড অপ্টিমাইজড হতে হবে। কারণ আমরা জানি ওয়েবসাইট স্লো হওয়ার জন্য অপ্রয়োজনীয় CSS ও JS ফাইল দায়ী থাকে। এইতো কয়েক বছর আগেও থিমে নতুন নতুন ইফেক্ট ও ফিচার অ্যাড করার জন্য ম্যাসিভ আকারে CSS  ও JS স্ক্রিপ্ট ইউজ করা হতো। এই থিমগুলো ওয়েবসাইটে ইন্সটল করলে সার্ভার লোড বাড়িয়ে দেয় এবং সাইট স্লো করে দেয়।


অন্যদিকে প্লাগিন ই-কমার্স ওয়েবসাইটের পেজ স্পিড কমিয়ে দেওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়। সাধারণত অনলাইন স্টোরে অনেক ফাংশন অ্যাড করার জন্য প্লাগিন অ্যাড করা হয়। তবে এগুলো স্পিড অপ্টিমাইজড না হলে সার্ভারে অনেক বেশি লোড বৃদ্ধি করে। যা ওয়েবসাইটের স্পিড অনেক বাড়িয়ে খারাপ ও বিরক্তিকর অভিজ্ঞতার সৃষ্টি করে।


লেটেস্ট পিএইচপি ভার্সন ইউজ করা

আপনার ওয়েবসাইট যদি ওয়ার্ডপ্রেসে তৈরি করা হয় তাহলে সার্ভারে কোন PHP ভার্সন চালু আছে তা জানা আবশ্যক। কারণ ওয়ার্ডপ্রেস এবং উকমার্স পুরোটাই পিএইচপি তে তৈরি। পুরাতন ভার্সনের PHP থেকে নতুন ভার্সনের PHP অনেক বেশি ফাস্ট হয় এবং বেশি ফিচার সমৃদ্ধ হয়ে থাকে। আপনার অনলাইন স্টোর পিএইচপির কত নাম্বার ভার্সনে চলছে তা নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে। চেষ্টা করতে হবে যেন সবসময় PHP ভার্সন লেটেস্ট ভার্সনে আপডেটেড থাকে। 


শেষ কথা

ই-কমার্স ওয়েবসাইটে ভিজিটর মানেই হচ্ছে সম্ভাব্য কাস্টমার। যত বেশি ভিজিটর আসবে তত বেশি সেল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তবে ওয়েবসাইট যদি লোড হতে বেশি সময় নেয় তাহলে কিন্তু ভিজিটর অন্য সাইটে মুভ করবে। অথবা ওয়েবসাইট স্লো হওয়ার কারণে বিরক্ত অনুভব করবে। যা বিজনেসের জন্য অনেক ক্ষতিকর। এখানে আপনি কীভাবে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট স্পিড অপ্টিমাইজেশন করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।